সংসারে অশান্তির আগুন নিয়ে রাজস্থানের বিরুদ্ধে নামছে নাইট রাইডার্স
সোমবার আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে নামছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। নাইট রাইডার্সের কাছে বলতে গেলে ডু অর ডাই ম্যাচ। প্লে অফের সম্ভাবনা জিইয়ে রাখতে গেলে জেতা ছাড়া রাস্তা নেই শ্রেয়স আয়ারের দলের কাছে। এই রকম মরণবাঁচন ম্যাচের আগে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়ে নাইট শিবির।চলতি আইপিএলে শুরুটা খুব একটা খারাপ করেনি কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রথম ৪ ম্যাচে তিনটিতে জিতে শুরুর দিকে বেশ ভাল জায়গাতেই ছিল। তারপর হঠাৎই ছন্দপতন। শেষ পাঁচটি ম্যাচ হেরে একেবারে খাদের কিনারে। প্লে অফের ছাড়পত্র পেতে গেলে বাকি ম্যাচগুলিতে জিততেই হবে নাইট রাইডার্সকে। এই অবস্থায় সোমবার এমন একটা দলের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে, যারা যথেষ্ট ভাল ছন্দে রয়েছে। সুতরাং নাইটদের কাছে কাজটা যে সহজ হবে না, সেকথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।প্লে অফের ছাড়পত্র পেতে গেলে বাকি সব ম্যাচেই জিততে হবে নাইটদের। কাজটা যে যথেষ্ট কঠিন, সেকথা খুব ভালভাবেই জানেন নাইট রাইডার্স অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। তাই প্লে অফের স্বপ্ন তিনি দেখছেন না। শ্রেয়সের একটাই লক্ষ্য দলের সম্মান রক্ষা করা। সেই লক্ষ্যেই সতীর্থদের নিজেদের উজার করে দেওয়ার কথা বলেছেন। যদিও নাইট শিবিবের অসন্তোষের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। যার নমুনা পাওয়া গেছে টিম সাউদির কথায়। দলের এই জোরে বোলার সরাসরি ওপেনারদের দিকে আঙুল তুলেছেন। প্যাট কামিন্সকে প্রথম একাদশের বাইরে রাখা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।জস বাটলারের কথা মাথায় রেখে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে প্যাট কামিন্সকে প্রথম একাদশে ফেরানোর ভাবনা শুরু হয়েছে। ভেঙ্কটেশ আয়ার, আন্দ্রে রাসেলদের ফর্মও চিন্তায় রাখছে নাইট টিম ম্যানেজমেন্টকে। ব্যাটে একমাত্র রান রয়েছে অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার ও নীতিশ রানার। নীতিশ রানাকে কেন আরও ওপরে তুলে নিয়ে আসা হচ্ছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। আসলে সঠিক কম্বিনেশন বেছে নিতে না পারার জন্যই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে নাইট রাইডার্সকে। গতবছর আইপিএলে শেষ পর্বে টানা ম্যাচ জিতে প্লে অফে পৌঁছে গিয়েছিল নাইটরা। এবছর কাজটা একটু বেশিই কঠিন।দুই দলের সাক্ষাৎকারে নাইট রাইডার্স সামান্য হলেও এগিয়ে রয়েছে। ২৬ সাক্ষাৎকারের মধ্যে নাইটরা জিতেছে ১৩টি ম্যাচে, অন্যদিকে রাজস্থান জিতেছে ১২ ম্যাচে। চলতি আইপিএলের প্রথম পর্বের সাক্ষাৎকারে ৭ রানে জিতেছিল রাজস্থান রয়্যালস। এবার নাইটদের সামনে প্রতিশোধের সুযোগ। শ্রেয়স আয়ারের দলকে জিততে গেলে জস বাটলারকে আটকাতেই হবে।